প্রেস বিজ্ঞপ্তি :

কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আবদুল মন্নান বলেন ‘হাম-রুবেলার মত সংক্রামক রোগের হাত থেকে বাঁচার জন্য শিশুদেরকে সঠিক সময়ে টিকা নিতে হবে। ১৯ এপ্রিল বুধবার সকালে রামু হাসপাতাল মিলনায়তনে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যেগে আয়োজিত হাম রুবেলা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নে পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের রিফ্রেসার ট্রেনিংএ তিনি একথা বলেন । তিনি আরো বলেন ‘বাংলাদেশ সরকার ২০১৮ সালের মধ্যে হাম রোগ দূরীকরন এবং রুবেলা ও কনজিনেটাল রুবেলা সিনড্রোম নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থীর অনুপ্রবেশ কক্সবাজার জেলার জন্য জনস্বাস্থ্য বিষয়ক হুমকি স্বরুপ হওয়ায় ও অত্র জেলায় শিশুদের এম আর টিকা গ্রহনের হার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাম রুবেলা বিশেষ টিকাদান কর্মসূচী ২০১৭ গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচী আগামী ২৯ এপ্রিল থেকে ১৪ মে পর্যন্ত চলবে। এই বিশেষ টিকাদান কার্যক্রমে ৯ মাস থেকে ৫৯ মাসের কম বয়সী সকল শিশুকে ১ ডোজ এম আর টিকা দেওয়া হবে। নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রে উক্ত কর্মসূচী ২সপ্তাহব্যাপী চলবে। উক্ত কর্মসূচী সফল করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।’

এতে অন্যান্যদের মধ্যে রিসোর্স পার্সন ছিলেন ওর্য়াল্ড হেলথ অর্গনাইজেশন চট্টগ্রাম বিভাগের সার্ভিল্যান্স মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোস্তফা কামাল, রামু হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার সাইদুল মোস্তাকিম, রামু প.প. কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন মোহাম্মদ ইউসুফ।

জানা গেছে ‘হাম একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক সংক্রামক রোগ। এই রোগ সাধারণত একজন আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসা অন্যদের মধ্যে হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। শিশু ছাড়াও যে কোন বয়সে হাম হতে পারে। অন্যদিকে রুবেলা রোগের জীবাণু প্রধানত বাতাসের সাহায্যে ও শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে সুস্থ শরীরে প্রবেশ করে এবং তখন রুবেলা রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। এই রোগ এবং জটিলতার হাত থেকে বাঁচার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচেছ সঠিক সময়ে শিশুকে রুবেলার টিকা দেয়া।

উল্লেখ্য কোন শিশু পূর্বে এম আর এবং অথবা হামের টিকা পেয়ে থাকলে কিংবা হাম হলেও ঐ বয়সের সকল শিশুকে নির্ধারিত দিনে এম আর টিকা দেওয়া হবে।